দালালের সাথে যোগসাজসে অবৈধভাবে গাড়ি পারাপার করতে গিয়ে ওসির হাতে এক দালাল ও এক আনছার সদস্য আটক করে।
সোমবার দিনগত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট
ট্রাক বুকিং কাউন্টার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে ওই দালালকে ভ্রাম্যমাণ
আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং আনছার সদস্যের কাছ থেকে
মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও
ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা আনছার বিভাগ।
উল্লেখিত দালালের নাম সেলিম মন্ডল (৩০)।তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ওমর
আলী মোল্লা পাড়ার মৃত হাসেম মন্ডলের ছেলে। আনছার সদস্যের নাম মোঃ ধনু মিয়া
(৫৫)।তার আইডি নং ৩৬১৪০।ঘটনার পর তাকে রাজবাড়ী জেলা আনছার কার্যালয়ে ক্লোজ
করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল
তায়াবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দৌলতদিয়া ঘাটকে দালাল মুক্তকরন
অভিযানের অংশ হিসেবে তিনি এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি গোপন সংবাদ
পেয়ে দৌলতদিয়া ট্রাক বুকিং কাউন্টারের সামনে হতে ফেরির টিকিট সহ আনছার
সদস্য ধনু মিয়া ও দালাল সেলিমকে আটক করেন।দালাল একটি পিকআপ ভ্যানকে দ্রুত
ফেরির টিকিট পাইয়ে দেয়ার কথা বলে চালকের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা আদায়
করে।টিকিটের নির্ধারিত মূল্য ৭৪০ টাকা। অবৈধভাবে দ্রুত টিকিট পেতে আনছার
সদস্য ওই দালালকে সহায়তা করে। আটকের পর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে। পরে
তাদেরকে গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
রফিকুল ইসলামের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে আদালত দালালকে ১০ হাজার
টাকা জরিমানা করে এবং আনছার সদস্য তার অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে
তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন ।এ ধরনের অপরাধের সাথে যুক্ত
হওয়ার অপরাধে ইতিপূর্বে এখান থেকে জেলা পুলিশের দুইজন সদস্যকে চাকরি হতে
সাময়িক বহিস্কার করা হয় বলে তিনি আরো জানান।
এ প্রসঙ্গে রাজবাড়ী জেলা আনছারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কুসুম কুমার রায় বলেন,অভিযুক্ত আনছার সদস্যকে জেলা অভিসে ক্লোজ করা হয়েছে। সেই সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্হা নিতে আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি