আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
পুরোনো কালর্ভাটটি তিনবার সংস্কার করার পরও আবারো ভেঙে যায়। তারপর হতেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভাঙা কালভার্ট দিয়ে নিরুপায় হয়ে পার হচ্ছেন এলাকাবাসী । বিশেষ করে রাতের বেলা পথচারীসহ গ্রামবাসীর জন্য কালভার্টটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল-নেকমরদ মহাসড়ক ঘেঁষা মীরডাঙ্গী হয়ে কাতিহার পাকা সড়কের বাজেবাক্সা পাবনী এলাকায় এই কালর্ভাটটি। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন সড়কের মাঝে রয়েছে ব্রিজটি। এটি ভেঙে যাওয়ায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় মানুষসহ যান চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টটি ভঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটি মেরামতে বা নতুন করে সংস্কারে খোঁজ নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ এ কালভার্ট মেরামত নিয়ে প্রশাসনের নেই কোনো তাগাদা বা মাথা ব্যথা । কালভার্টের মাঝখানে প্রায় তিন ফিট ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। এখানে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। এছাড়া সংলগ্ন জমিতে খাল খননের কাজ শুরু হলে কালভার্টটি রয়েছে আরও ঝুঁকিতে। সারা বছর জুড়ে ধান, গম,ভুট্টা ও সবজি মৌসুমে সকল পণ্য পরিবহনে চাষীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার জোর দাবি জানিয়েছন এলাকাবাসী। একাধিকবার সংস্কার হওয়া এই কালভার্টটি পথচারী ও যান চলাচলে ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। ভেঙে নতুন করে এটি নির্মাণ করা হলে তবেই সাধারণের দুর্ভোগ লাগঘ হবে এমন মন্তব্য সচেতন মহলের। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, বছর তিনেক আগে মীরডাঙ্গী হয়ে কাতিহার হাট পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে নির্মাণ করা হয়। তবে সে-সময় বিভিন্ন জটিলতায় ওই কালভার্টের অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় নতুন করে সেটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম জানান, কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্হায় রয়েছে এ বিষয়ে আমরা অবগত। এ সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দ অনুমোদন হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।